তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে দায়ের হওয়া মামলায় জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এ মামলায় আসিফের বিচার শুরু হলো।
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেন বৃহস্পতিবার আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন এবং সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ২৩ জুন দিন ঠিক করে দেন।
অভিযোগ গঠনের সময় কাঠগড়ায় দাঁড়ানো আসিফকে অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়। আদালতের প্রশ্নে আসিফ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। পরে আসিফ আকবরের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে বিচারক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে অভিযোগ গঠনের আবেদনের ওপর শুনানি করেন এ ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম। এর বিরোধিতা করে আসিফের পক্ষে অব্যাহতির আবেদনের শুনানি করেন ব্যরিস্টার মঈন ফিরোজ।
পরে ব্যরিস্টার মঈন ফিরোজ সাংবাদিকদের বলেন, আসিফের সঙ্গে আলোচনা করে অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।
আদালত সূত্র জানায়, গত ৪ জুন সন্ধ্যায় গীতিকার, সুরকার ও গায়ক শফিক বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন। ৫ জুন রাতে আসিফকে তার মগবাজারের অফিস থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলায় আসিফ অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১ জুন রাত ৯টার দিকে একটি বেসরকারি চ্যানেলের ‘সার্চ লাইট’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মামলার বাদী (শফিক তুহিন) জানতে পারেন, আসিফ অনুমতি ছাড়াই তার সংগীতকর্মসহ অন্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছেন।
পরে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, আসিফ তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তর করে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন।
এরপর মামলার বাদী ২ জুন রাতে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির বিষয়টি উল্লেখ করে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দেন। বাদীর ওই পাস্টের নিচে আসিফ অশালীন মন্তব্য ও হুমকি দেন। পরের দিন ১০টার দিকে আসিফ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন। লাখ লাখ মানুষ তার লাইভে আসেন।
লাইভে বাদীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা বক্তব্য দেন। আসিফ লাইভে বাদীকে শায়েস্তা করবেন বলেও হুমকি দেন। একই সঙ্গে ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, শফিক তুহিনকে (বাদী) যেখানেই পাবেন, সেখানেই প্রতিহত করবেন। আসিফের ওই বক্তব্যের পর তার ভক্তরাও ফেসবুকে শফিক তুহিনকে হুমকি দেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।